শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন

আবারও বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা ও ধরলার পানি; ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারও লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে আবারও ভয়াবহ বন্যার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।

বুধবার (২৯ জুন) দুপুর ১২টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সে. মি. ওপরে ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ২৩ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও বন্যা তথ্য কেন্দ্র আগামী ২৪ ঘন্টায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পূর্বাভাস দিয়েছেন।

এই বছরে তৃতীয় দফা বন্যায় অসহায় হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জেলার পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পানি প্রবেশে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

গত সপ্তাহের বন্যার জের কাটতে না কাটতেই আবারও বন্যা মরার ওপর খড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে। খাদ্য ও নিরাপদ পানি সংকট ও পয়োঃনিস্কাশন ব্যাবস্থা অবনতি সহ স্বাভাবিক চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দী এসব মানুষ। নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত হয়ে পড়েছে। পশুপাখি ও গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন এসব বানভাসি মানুষ। গরু ছাগলের খাদ্য-সংকট সহ নিরাপদ স্থানে রাখতেও ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। গত ২৪ ঘন্টায় লালমনিরহাট জেলায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এছাড়াও আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা ও ধরলা পাড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির পূর্বাভাস জানিয়েছেন বন্যা তথ্য কেন্দ্র।

লালমনিরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তা ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় পানি আরও বাড়তে পারে। আমরা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com